Please log in to submit content!
By Puja Ghosh Monday April 4, 2022
বাঙালি মানেই ভ্রমণ প্রীয়াসু। আর এই ব্যাস্ততার জীবন এর একঘেঁয়েমী দূর করতে খুব অল্প দিনের ছুটিতে আমরা কম-বেশি সকলেই প্রায় দিঘাকে বেছে নিই। কারন খুব অল্প ব্যায় ও অল্প সময়ে মনের সাধ মেটাতে দিঘার জুড়ি মেলা কঠিন। তবে সম্প্রতি দিঘার হোটেল বুকিং সংক্রান্ত বেশ কিছু নিয়মাবলী পরিবর্তন ঘটেছে। তাই দিঘায় পা রাখার আগেই এই সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। ১লা এপ্রিল থেকেই দিঘার হোটেল বুকিং এ বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। বছরের প্রায় প্রতিটা সময়েই দিঘা মানুষের ভিড়ে ঠাসা থাকে। আর ভিড় বাড়ার সাথে সাথে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা সেখানে ঘটতে দেখা যায় প্রায়ই। আর এই সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে মানুষ যাতে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে ঘোরা ফেরা করতে পারে , আনন্দ-মজা করতে পারে মূলতঃ সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আপাতত দিঘার ৬০০টি হোটেল রাজ্য সরকার অনলাইন ডাটা বেস পক্রিয়া চালু করেছে। একে একে শঙ্করপুর ,তাজপুর, মন্দারমনিতে এই সিস্টেম চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকার। তবে এই সিস্টেম কি বা কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম এটা জানা খুবই প্রয়োজনীয়।
এই সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে যে সমস্ত পর্যটকরা হোটেল বুকিং করবে সেই বুকিং এর সমস্ত তথ্য অর্থাৎ যে বুকিং করছে তার সমস্ত তথ্য তৎক্ষণাৎ হোটেল কর্তৃপক্ষকে অনলাইন পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের থেকে নেওয়া ফিও জমা করতে হবে অনলাইনে , এর ফলে সবথেকে বড় ব্যাপার হবে, রাজস্বে ফাঁকি দেওয়া কোনোমতেই চলবেনা। তবে পর্যটকদের সুরক্ষাও বেশী করে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দিঘা-শঙ্করপুরকে এই বিষয়ে প্রযুক্তি গত দিক দিয়ে সহায়তা করছে এন.আই.সি বা ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টার।
দুর্নীতি ঠেকাতেই মূলতঃ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এত প্রযুক্তি গত উন্নয়ন আসার ফলেও হোটেল এ থাকার খরচ বাড়ছেনা এমনটিই জানিয়েছেন দিঘার হোটেল আসোসিয়েশন।
পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরিসেবার জন্য এমনিতেই পর্যটকরা একটা কর দিয়েই থাকে। এই কর বাবদ প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা আয় হয়। আর এই কর নিয়ম অনুসারে দিঘার উন্নয়ন প্রাপ্তির জন্য দিঘা সরকারের প্রাপ্তি। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই হোটেল কর্তৃপক্ষ এই কর সরকারকে দেয়না। ফলে সরকারের খুব কম টাকা আদায় হওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
তাই এই নতুন পক্রিয়ায় একদিকে যেমন দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ঠিক তেমনি অন্যদিকে দিঘায় আসা সমস্ত পর্যটকদের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এতে পর্যটকদের সুরক্ষা বাড়বে, কেউ বিপদে পড়লে দ্রুত তাকে বিপদমুক্ত করা যাবে। সকলের সুরক্ষা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
Write a comment.